শিক্ষার্থীরা গাড়ি আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন তৌসিফ মাহবুব

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। রাজধানীতে পরপর গাড়ি চাপায় দুই শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে এ আন্দোলন চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

রাস্তায় নেমে তারা নানা রকম গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে। ফিটনেসবিহীন পরিবহন পেলেই তাদের গাড়ি আটকেও দিচ্ছে। পুলিশ এসে মামলা নিচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনে অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা গাড়ির লাইসেন্স দেখতে চান। লাইসেন্স দেখানোর পরও একপর্যায়ে তৌসিফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জড়ান শিক্ষার্থীরা।

পরে তৌসিফ গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে তৌসিফ মাহবুব বলেন, ‘আমি সবসময়ই শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি। ২০১৮ সালে যখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিলেন তখন আমিও তাদের পাশে ছিলাম, তাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছিলাম। তখনকার আন্দোলনটা বেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্ত এবার মনে হয়েছে তারা একটু বেশিই উত্তেজিত! তারা আমার সঙ্গে যা করেছে তা খুব কষ্ট দিয়েছে আমাকে।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তৌসিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেখানে আন্দোলন করছে তার অপর পাশের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আমি। প্রথমে দুই-তিনজন ছেলে এসে আমার গাড়ি আটকে দেয়। কয়েকজন ছেলে আমার গাড়ির পেছন দিকে লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এতেই মূলত আমার রাগ হয়। আমার গাড়ির লাইসেন্স দেখাতে চাইলে সেটা দেখাই কিন্তু তারপরেও তারা গাড়ি নিয়ে যেতে দেবে না।’

‘আমি তাদের বললাম, গাড়িতে আমার অসুস্থ মা আছে, মাকে বাসায় রেখে আমাকে শুটিংয়ে যেতে হবে; কিন্তু তারপরও তারা কথা শুনছিল না। পরে গাড়ি থেকে নেমে তাদের সবার সঙ্গে কথা বলি, সবাই আমার সঙ্গে ছবিও তুলে। এরপর আমাকে যেতে দিয়েছে।’

‘এখন আমার কথা হলো, যেখানে আন্দোলন করলে বা কথা বললে কাজ হবে সেখানে কথা বলতে হবে। তা না করে এখনকার শিক্ষার্থীরা যদি এমন আচরণ করে, এটা তো ঠিক না। আমার মতে তারা ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। উচ্ছৃঙ্খল হলে তো হবে না।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top