এ যেন ‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার বাস্তব পুনরাবৃত্তি

দুই শিশুকে স্কুলঘরে রেখেই তালা। চিৎকার শুনে উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। বরিশাল নগরী‌র একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা। শ্রেণি শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর। দুঃখ প্রকাশ করে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলেছেন, স্কুলের অভিভাবক কমিটি গঠন নিয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে ইস্যু তৈরি করেছে।

এ যেন ছুটির ঘণ্টা সিনেমার বাস্তব পুনরাবৃত্তি। বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের ইন্দ্রকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী গত বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে আটকা পড়ে স্কুলে। চিৎকার শুনে তাদের উদ্ধার করা হয়।

চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ফারজান ও মুনমুন জানায়, সেদিন বিকেলের শিফটে স্কুলে আসে তারা। ৪টায় শিক্ষক তাদের অংক করতে বলে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যান। সাড়া না পেয়ে ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখে স্কুলের গেটে তালা। তাদের ডাকাডাকি ও চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন।

ইচ্ছাকৃত নয় জানিয়ে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মাকসুদা বেগম।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক তানিয়া সুলতানা দাবি করেন, বিকেল সোয়া ৪টায় গেট তালাবদ্ধ করলেও ফোন পেয়ে ২০ মিনিটের মধ্যেই চাবি নিয়ে গেট খুলতে যান। এ সময় গেট খুলতে বাঁধা দেন এলাকার কয়েকজন। তার অভিযোগ, অভিভাবক কমিটি গঠন নিয়ে দলাদলির জেরে পুলিশ, সাংবাদিক ডেকে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হয়।

এদিকে, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শ্রেণি শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মজুমদার।

স্কুলটিতে ৯ শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৪ জন। অফিস সহকারী ১ জন। এমন ঘটনা রোধে শিক্ষকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি লোকবল বাড়ানোর দাবি স্থানীয়দের।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top